বাংলাদেশে আয়কর আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট আয়কারী প্রতিটি নাগরিককে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। কিন্তু আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার নিয়ম, আয়করের প্রয়োজনীয় পরিমান, কাদের জন্য আয়কর প্রযোজ্য এ সকল যাবতীয় তথ্য না জানার কারণে অনেকেই অনেক ধরনের ভোগান্তিতে পড়েন। তাই আজকে আমরা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আয়কর রিটার্ন কি?
আমরা অনেকেই আয়কর পরিশোধ করা এবং রিটার্ন দাখিল করাকে একই বলে মনে করে থাকি। প্রকৃতপক্ষে এই দুটি বিষয় এক নয়। রিটার্ন দাখিল করা হচ্ছে সরকারকে নিজের বাৎসরিক আয়-ব্যয় এবং যাবতীয় সম্পত্তি সম্পর্কে জানানো।
আরও পড়ুন: অনলাইনে কিভাবে ই-টিন রেজিস্ট্রেশন করবেন?
এজন্য আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ অনুযায়ী প্রতি বছরই একজন করদাতার বাৎসরিক আয়, ব্যয় ও যাবতীয় সম্পত্তির তথ্যাবলী বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ডের একটি নির্দিষ্ট ফরমের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হয়। সে তথ্য অনুযায়ী আয়কর কর্তৃপক্ষ সাধারণত আয়করের পরিমাণ নিশ্চিত করে থাকে। একজন করদাতার বার্ষিক আয়, ব্যয় এবং সম্পদের তথ্যাবলী নির্ধারিত ফরমের মাধ্যমে কর অধিদপ্তরকে জানানোর বিষয়টিই হলো আয়কর রিটার্ন দাখিল করা।
অর্থাৎ, একজন করদাতাকে প্রতিবছর তার মোট আয়-ব্যয় এবং সম্পদের যে হিসাব বিবরনী জাতীয় রাজস্ববোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফর্মে দাখিল করার পদ্ধতিকেই বলা হয় আয়কর রিটার্ন।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার নিয়ম
২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার ব্যবস্থা শুরু করা হয়। এর ফলে করদাতাগণ ঘরে বসে সহজেই ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সাহায্যে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ই-রিটার্ন ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে নিতে হবে। তবে ই-রিটার্ন সাইটে রেজিষ্ট্রেশনের পূর্বে করদাতাকে অবশ্যই টিন সার্টিফিকেট তৈরী করে নিতে হবে। অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট তৈরী করার জন্য এখানে ক্লিক করুন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ই-রিটার্ন ওয়েবসাইটে রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে উপরের নিয়ম অনুযায়ী দুটি ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। তারপর ই-রিটার্ন সাইটের নিয়ম অনুসরন করে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে।
ই-রিটার্ন সাইটে রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন জমা করার ধাপগুলো নিম্নে দেওয়া হলোঃ
ধাপ ১ঃ ই-রিটার্ন সাইটে রেজিষ্ট্রেশনের ধাপসমূহঃ
১) প্রথমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এজন্য এই লিংকে (https://etaxnbr.gov.bd) ক্লিক করুন।
২) ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত পেজ হতে ‘eReturn’ অপশনটির উপর ক্লিক করতে হবে।
৩) পরবর্তী পৃষ্ঠার নিচে লেখা ‘Registration’ বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে।
৪) প্রদর্শিত পৃষ্ঠায় ইংরেজিতে টিন নাম্বার ও মোবাইল নাম্বার লিখতে হবে। এবং নিচে দেওয়া ক্যাপচাটি পূরণ করতে হবে।
৫) এরপর ‘Verify’ বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ২ঃ মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন
১) প্রদর্শিত পৃষ্ঠার প্রথম ঘরে মোবাইল ফোনে পাঠানো OTP লিখতে হবে।
২) এর নিচের ঘরে পছন্দ অনুযায়ী একটি পাসওয়ার্ড লিখতে হবে এবং তারপর সেটি আরেকবার নিচের ঘরে লিখে নিশ্চিত করতে হবে।
৩) এরপর নিচে থাকা ‘Submit’ বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে।
৪) এরমাধ্যমে ই-রিটার্ন সিস্টেমে রেজিষ্ট্রেশনের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
ধাপ ৩ঃ ই-রিটার্ন সিস্টেমে লগইন (e-Return System Login)
১) এখন আবার লগইন করার জন্য ‘eReturn’ বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে।
২) লগইন পেইজ প্রদর্শিত হলে সেখানে ১২ ডিজিটের টিন নাম্বার ও এই ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করার সময় ব্যবহার করা পাসওয়ার্ডটি লিখতে হবে।
৩) নিচে থাকা ক্যাপচাটি পাশের ঘরে পূরন করে ‘Sign in’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ৪ঃ ই-রিটার্ন সিস্টেম ইন্টারফেস
১) নতুন ইন্টারফেসটি দেখতে একটি ড্যাশবোর্ড এর মত হবে।
২) এখান থেকে বাম পাশে প্রদর্শিত তালিকার ‘Return Submission’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ৫ঃ কর নির্ধারন তথ্য (Tax Assessment Information)
১) এরপর আরেকটি পৃষ্ঠা সামনে আসবে। এখানে Tax Assessment Information বা আয়কর নির্ধারণ সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে।
২) Assessment Information: রিটার্ন ফরমের শুরুতে Assessment Information সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে।
২.১. Return Scheme : Universal Self: সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি হিসেবে এটি থাকবে।
২.২. Assessment Year: 2022-2023: যে অর্থবছরে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন এটি সেই অর্থবছর। তাই Assessment Year ২০২২-২০২৩ হবে।
২.৩. Income Year: 2021-2022: আয়বর্ষ সাধারণত পূর্বের অর্থবছরকে হিসাব করা হয়। কারণ আমরা চলতি অর্থবছর 2022-2023 এ আয়কর দিব পূর্বের অর্থবছরের। তাই আয়বর্ষ হবে 2021-2022।
২.৪. Any Taxable Income in the above mentioned income year: যদি ২০২১-২২ আয় বছরে করযোগ্য কোন আয় করে থাকেন, তবে Yes দিবেন।
২.৫. Any Income which is fully exempted from tax: বাংলাদেশ সরকার কিছু আয়কে সম্পুর্ণভাবে করমুক্ত রেখেছে। যেমন, ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, সফটওয়ার ও আইটি ব্যবসাসহ আরো অনেক খাত আছে। যেগুলো হতে আপনি যতই আয় করেন না কেন কোন আয়কর দিতে হবে না। আপনি যদি এই ধরণের খাত থেকে আয় করে থাকেন, তাহলে এই অপশনে Yes দিন।
২.৬. Resident Status: Resident: বাংলাদেশের বাসিন্দা হিসেবে অবশ্যই Resident অপশনটি সিলেক্ট করবেন।
৩) Heads of Income: আয়ের খাত বা উৎসসমূহ হতে শুধুমাত্র আপনার উৎসমূহ বাছাই করুন।
৩.১. Salaries
৩.২. Interest on Securities
৩.৩. Income from House Property
৩.৪. Agricultural Income
৩.৫. Income from Business and Profession
৩.৬. Capital Gain
৩.৭. Income from Other Source
৪) Any Income from the Following Sources: নিচের উৎসসমূহ থেকে আয় থাকলে বাছাই করুন। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সার হলে ৪.৩ নম্বরটি সিলেক্ট করুন।
৪.১. As a Partner of Firm
৪.২. As a Member of an AoP
৪.৩. Income Earned Outside Bangladesh
৪.৪. Income Earned by the Spouse or Minor Children এবং সবকিছু ঠিক থাকলে ‘Save and Continue’ বাটনটিতে ক্লিক করে পরের পৃষ্ঠায় যেতে হবে।
ধাপ ৬ঃ আয়ের তথ্য – Income Information
এ ধাপে আপনার যাবতীয় আয়ের উৎসগুলোর তথ্য দিতে হবে।
১. Additional Information
১.১. Location of Main Source of Income: এখানে আপনার বর্তমান ঠিকানা দিন। অর্থাৎ যদি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় থাকেন তাহলে City Corporation Area এবং গ্রাম বা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় থাকলে Any Other Area সিলেক্ট করুন।
১.২. War wounded Gazetted Freedom Fighter: মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকলে টিক দিন।
১.৩. Person with Disability: প্রতিবন্ধী হয়ে থাকলে টিক দিন।
১.৪. Claim Benefit as a Parent/ Legal Guardian of a Person with Disability: কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বা শিশুর পিতা-মাতা বা আইনত অভিভাবক হয়ে থাকলে টিক দিন।
২. Claim Tax Rebate for Investment: বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিনিয়োগের উপর কর ছাড় (Tax Rebate) দেয় এমন কোন খাতে বিনিয়োগ করে থাকলে কর ছাড়ের জন্য দাবী করতে এই অপশনে টিক দিতে পারবেন।
৩. Shareholder Director of a Company: প্রাইভেট বা পাবলিক লিঃ কোম্পানীর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হয়ে থাকলে এই অপশনে টিক দিন।
৪. IT10B Requirement: আয়কর রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে এই IT10B ফরম। যদি কোন ব্যক্তি / করদাতার মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি হয়ে থাকে, আবশ্যিকভাবে এই ফরমে আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখাতে হবে। তবে কম হলে এটি পূরণ করা বাধ্যতামূলক নয়। এক্ষেত্রে রিটার্ন জমা দেওয়া আরো সচ্ছ করার জন্য যে কেউ এটি পূরণ করতে পারেন।
৪.১. Gross Wealth over 40,00,000? Own a Motor Car? Have House Property in any City Corporation? থাকলে Yes এবং না থাকলে No দিয়ে দিন।
৪.২. IT10B is not Mandatory. Still want to Submit? IT10B হচ্ছে ব্যয় বিবরণী দেখানোর একটি ফর্ম। মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি হলে এটি অবশ্যই পূরণ করতে হবে। কিন্তু কম হতে এই বিবরণী দাখিল করা বাধ্যতামূলক নয়। আপনি যদি এটি পূরণ করতে চান তাহলে Yes দিন এবং Save & Continue বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে যান।
ধাপ ৭ঃ আয়ের বিস্তারিত তথ্য – Income Details
১. এ ধাপে আপনার বিভিন্ন আয়ের উৎসসমূহ সিলেক্ট করতে হবে। আয়ের উৎস যদি একমাত্র বেতন হয় তবে Salary বাছাই করুন।
২. Income from Other Sources (অন্যান্য উৎস থেকে আয়): এছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে আয় হলে (Income from Other Sources) সিলেক্ট করে Dropdown অপশন থেকে আয়ের উৎসটি সিলেক্ট করুন।
৩. Tax Exempted Income (কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত আয়/ করমুক্ত আয়): ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, সফ্টওয়্যার ও আইটি ব্যবসা এবং এ ধরনের বিভিন্ন উৎস থেকে আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত। তাই উক্ত খাত থেকে আয় থাকলে তা এখানে সিলেক্ট করুন।
৪. Income Summary: এখানে বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ ও ব্যবসায়িক খরচ দেখাতে হবে। অর্থাৎ কোন ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের যদি বার্ষিক আয় ৩ লক্ষ টাকা হয় তবে তার ব্যয়ও থাকতে হবে। যেমন কন্টেন্ট তৈরীর বিভিন্ন টুলস+ভিডিও ক্লিপ+ অন্যান্য খরচ ৬০ হাজার, ডিজাইনারের খরচ ৩০ হাজার, ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ খরচ ১৫ হাজার টাকা।
৪.১. Gross Profit: এক্ষেত্রে তার Gross Profit বা মোট আয় ঘরে হবে ৩ লক্ষ টাকা।
৪.২. General, Administrative and Other Expense হবে সমস্ত খরচগুলো ( ৬০,০০০+৩০০০০+১৫০০০)= ১,০৫,০০০ টাকা।
৪.৩. Net Profit বা নীট আয় হবে (Gross Profit-যাবতীয় খরচ) অর্থাৎ (৩,০০,০০০-১,০৫,০০০)=১,৯৫,০০০ টাকা। সবকিছু ঠিকভাবে পূরণ হলে Save and Continue বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে যান।
ধাপ ৮ঃ ব্যয়ের তথ্য – Expenditure
এ ধাপে ব্যয়ের তথ্য দিতে হবে।
১. IT10B: যাদের মোট সম্পদ ৪০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি হয় তাঁদেরকে অবশ্যই এই ফরম টি পূরণ করতে হবে। ফরমটি পূরণের জন্য Yes দিন। যাদের সম্পদের পরিমাণ কম তাঁঁদেরকে এটি পূরণ না করলেও চলবে। তবে বাৎসরিক পারিবারিক ও ব্যক্তিগত খরচসমূহের মোট পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। ব্যয়ের তথ্য সঠিকভাবে পুরণ করা হলে Save and Continue বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে যান।
ধাপ ৯ঃ আয়কর ও পরিশোধ – Tax and Payment
১. যদি কেউ বেতনের সময় বা কোন ভাবে উৎস কর এবং অগ্রিম কর (Source Tax and Advance Tax) পরিশোধ করে থাকেন তা এখানে দেখাতে পারবেন। পরিশোধকৃত উৎস কর এবং অগ্রিম করগুলো মোট পরিশোধযোগ্য কর (Tax Payable) থেকে স্বয়ংক্রীয়ভাবে কর্তন হয়ে যাবে।
যাদের আয়ের উপর কোন কর পরিশোধ করতে হয় না তাদের ক্ষেত্রে Payable Amount শুন্য আসবে। আর রিটার্নে Payable Tax Amount শুন্য বা Zero হলে সেগুলোকে জিরো রিটার্ণ (Zero Return) বা শুন্য রিটার্ন বলা হয়।
২. অফলাইন রিটার্ন (Offline Return): উপরের চিত্রে বামপাশের Yellow কালারের Proceed to offline (Paper) Return বাটন ক্লিক করে আয়কর রিটার্ন ফরমটির প্রিন্ট কপি নেয়া যাবে। তারপর ফরমটি করদাতা তার নিকটস্থ আয়কর সার্কেল অফিসে জমা দিতে পারবেন। এরজন্য কোন ফি পরিশোধ করতে হবেনা।
৩. অনলাইন রিটার্ন (Online Return): আবার ডানপাশের Blue কালারের Proceed to Online Return বাটন ক্লিক করে অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন।
৪. পরের পেইজে উপরের চিত্রের মত রিটার্ন ফরমটি পূরণ করা অবস্থায় প্রদর্শিত হবে। এখানে সবার সবকিছু ভালভাবে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।
৫. সবকিছু ঠিক থাকলে ফরমের নিচের দিকে থাকা ‘Verification’ এর ঘরে থাকা ছোট বক্সে ক্লিক করে টিক চিহ্ন দিতে হবে।
৬. তারপর ‘Submit return’ বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে।
৭. Submit Return বাটনে ক্লিক করলে একটি সতর্কবার্তা প্রদর্শিত হবে। এ বার্তার মাধ্যমে রিটার্ন দাখিলের জন্য চুড়ান্ত অনুমতি চাওয়া হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে Yes ক্লিক করুন।
ধাপ ১০ঃ Download Acknowledgement Receipt
সফলভাবে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া হলে, নিচের ছবির মত একটি অভিন্দন বার্তা প্রদর্শিত হবে। এখানে রিটার্ন সাবমিশনের একটি Reference ID এবং Acknowledgement Receipt ডাউনলোড করার অপশন দেখতে পাবেন। সেখান হতে প্রয়োজন অনুসারে এটি ডাউনলোড করে বা প্রিন্ট করেও সংরক্ষণ করা যাবে।
শেষকথা
নিয়মিত আয়কর দেওয়া এবং যথাসময়ে রিটার্ন দাখিল করা প্রত্যেক করদাতার দায়িত্ব। অনলাইন সিস্টেম চালু হওয়ার সুবাদে এখন যে কেউ ঘরে বসে তার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবে। এই নিবন্ধতি পড়ে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা প্রদান করতে সাহায্য করবে বলে আশা করছি।