SEO Trends 2022 : Google র‍্যাঙ্কিং-এ বেশি প্রভাব ফেলে এমন 5টি ফ্যাক্টর

google seo trends 2022



আপনি কি জানেন ২০২২ সালের SEO Trends কি? গুগল র‌্যাঙ্কিংয়ে কোন্ কোন্ ফ্যাক্টরগুলো বেশি প্রভাব ফেলে? যদি আপনার কাছে এই সমস্ত বিষয়ে তথ্য না থাকে তবে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই কারণ আজ আমি আপনাকে SEO Trends সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দিতে যাচ্ছি। কোনো ওয়েবসাইট এর অর্গানিক ট্রাফিক পাওয়ার জন্য গুগল র‍্যাঙ্কিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

অনেক ব্লগার এবং উদ্যোক্তা একটি ভাল র‌্যাঙ্কিংয়ের পিছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন। কিন্তু তারা সম্ভবত ভুলে যান যে, দীর্ঘস্থায়ী র‌্যাঙ্কিংয়ের কাজটি এককালীন প্রক্রিয়া নয়। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যা আপনাকে ক্রমাগত করতে হবে। এর কারণ হল Google প্রতি বছর তার SERP (Search Engine Result Page) অ্যালগরিদম পরিবর্তন করে এবং নতুন বিষয়গুলির সাথে এটি নিয়মিত আপডেট করে।


একটি সমীক্ষা অনুসারে, 2022 সালে গুগলের র‌্যাঙ্কিংকে প্রভাবিত করবে এমন 12টি কারণ রয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপ:

1. ওয়েবসাইট ভিজিট (Website Visits)

2. আপনি আপনার ওয়েবসাইটে কত সময় ব্যয় করেন

3. প্রতি সেশনে কতগুলি পেজ ভিউ হচ্ছে

4. বাউন্স রেট (Bounce Rate)

5. রেফারিং ডোমেন (Referring Domain)

6. আপনার কন্টেন্ট এর দৈর্ঘ্য (Content Length)

7. ওয়েবসাইট নিরাপত্তা (Website Security)

8. মূল কন্টেন্ট এ কিওয়ার্ড এর ব্যবহার 

9. শিরোনাম (Title)

10. কীওয়ার্ডের ঘনত্ব (Keyword Density)

11. মেটাতে কীওয়ার্ড (Keyword in Meta)

12. আপনার কন্টেন্ট এর সাথে সামঞ্জস্য ভিডিও ব্যবহার।

 

আরো পড়ুন: ওয়েব 3.0 কি?


গুগল র‍্যাঙ্কিংয়ে যে ফ্যাক্টরগুলোর প্রভাব বেশি

আমি উপরে যে 12টি বিষয় উল্লেখ করেছি সেগুলি 2023 সালের SERP-এ অনেক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আমি মনে করি। কিন্তু এই বছরের এসইও ট্রেন্ডকে সবথেকে বেশী প্রভাবিত করতে পারে এমন 5টি ফ্যাক্টর সম্পর্কে আলোচনা করব।

আপনি আপনার ব্লগে এ ফ্যাক্টরগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন ফলাফল কেমন হয়। তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ফ্যাক্টর আছে যেগুলো থেকে গুগল র‍্যাঙ্কিংয়ে বেশি প্রভাব ফেলে।


1. ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা (Website Popularity)

আপনার ওয়েবসাইটটি কেমন জনপ্রিয় গুগল তা ভালভাবে যাচাই করবে। কারণ আপনার ওয়েবসাইটটি র‌্যাঙ্কিং ফ্যাক্টরের দৃষ্টিকোণ থেকে জনপ্রিয় হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবেই আপনার পেজগুলি সহজেই র‌্যাঙ্ক হবে।

গুগল SERPs-এ ওয়েবসাইটটি কীভাবে র‍্যাঙ্ক করা হয় তা নিয়ে দেখা হয়। তখন দেখা হয় আপনার ওয়েবসাইটটি মাসে কতবার ভিজিট হচ্ছে, Behaviour Signal যাচাই করে দেখে ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইটে কত সময় ব্যয় করছে। আপনার সাইটের Bounce Rate কেমন? এছাড়া প্রতি সেশনের কতগুলো পৃষ্ঠা ভিজিট হচ্ছে তাও আপনার পেজ র‌্যাঙ্কিংয়ে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি আপনার কন্টেন্টগুলোতে আরও মনোযোগ দেন তবে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে জনপ্রিয় করতে পারেন।

 

আরও বেশী কন্টেন্টের জন্য আপনাকে আপনার নিশ সম্পর্কিত অনেকগুলি বিভিন্ন বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করতে হবে। আমার মতে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় ঠিকে থাকার জন্য আপনাকে একজন ভালো কন্টেন্ট রাইটার নিয়োগ করা উচিত।


এজন্য আপনি iWriter এর মতো অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে লেখকদের নিয়োগ করতে পারেন। কারণ তাদের একটি বিশাল ডাটাবেস রয়েছে, হাজার হাজার লেখক, ব্লগার, সম্পাদক, অনুবাদক রয়েছে।


তাঁদের মাধ্যমে আপনি অনলাইন কন্টেন্ট সম্পর্কিত যেকোনো কাজ করতে পারেন। যেমন ব্লগের জন্য এসইও আর্টিকেল লেখা, পণ্যের বিবরণ, ওয়েব পেজের বিষয়বস্তু তৈরী করা ইত্যাদি আপনি এই মার্কেটপ্লেসের সাহায্যে এরকম আরো অনেক কিছু করতে পারেন। এই ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস আপনাকে এরকম অনেক কিছু সরবরাহ করতে পারে।


এখানে আপনি সাশ্রয়ী দামে এই পরিষেবাগুলি ব্যবহার করতে পারেন। তাও খুব অল্প সময়ে। এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে আপনি আপনার প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে যেতে পারেন। কারণ একজন ব্যক্তির পক্ষে এত কিছু করা সবসময় সম্ভব হয় না।


2. লোডিং স্পিড (Loading Speed)

একটি ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট সাধারণত সেই ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড এর উপর নির্ভর করে। কারণ আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড এবং নেভিগেটিং স্পিড উভয়ই যদি না থাকে তবে বেশি লোক আপনার ওয়েবসাইটে বেশিক্ষণ থাকবে না। যার ফলে আপনার বাউন্স রেট বাড়বে।

আপনার সাইটের লোডিং স্পিড পর্যাপ্ত থাকলে আপনার ভিজিটরা একটি ভাল অভিজ্ঞতা পাবে এবং তারা আরও বেশি সময় থাকতে পছন্দ করবে। আর এর সাথে আপনার ওয়েবসাইটটিও হয়ে উঠবে seo ফ্রেন্ডলি।


এএমপি (অ্যাক্সিলারেটেড মোবাইল পেজ) যা Google দ্বারা প্রবর্তিত হয়েছে। যা আপনার কন্টেন্ট-কে অপ্টিমাইজ করে। আপনি যখন আপনার সাইটটি মোবাইলে ব্যবহার করবেন তখন এই এএমপি আপনার সাইটের লোডিং সময় হ্রাস করে দিবে। ফলে আপনার সাইটের কন্টেন্ট বিদ্যুতের গতিতে খুলতে শুরু করবে এবং এটি মোবাইল ভিত্তিক বিষয়বস্তুর মান অনুযায়ী কন্টেন্টকে পরিবর্তন করে ভিজিটরের নিকট প্রদর্শিত করে।

আরো পড়ুন: ডোমেইন অথরিটি কি? কিভাবে ডোমেইন অথরিটি বাড়ানো যায়?

3. নিরাপত্তা HTTPS (Security HTTPS)

এটির সাহায্যে ওয়েবসাইটকে Google-এর দৃষ্টিতে আরও বিশ্বস্ত করা। কারণ এটি Google-এ High Rank করাতে সাহায্য করবে৷ এটি করার জন্য আপনাকে Security Certification Enable করতে হবে; যা হল HTTPS।

আপনার সাইটে এটি চালু থাকলে গুগল জানবে যে আপনার ওয়েবসাইট কোন কাজ করার জন্য বেশি সুরক্ষিত। যে সকল সাইট HTTPS চালু থাকা সত্ত্বেও ভিজিটরদের ক্রেডিট কার্ড এবং পাসওয়ার্ডের বিশদ জিজ্ঞাসা করছে, সে সকল ওয়েবসাইটগুলিকে Google Chrome ব্রাউজার থেকে জানুয়ারী-2017 থেকে "নিরাপদ নয়" এমন সতর্কীকরণ স্ট্যাটাস দিচ্ছে ৷


আপনার যদি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট থাকে তবে আপনার জন্য একটি সুখবর রয়েছে। কারণ Google এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য মর্যাদা দিচ্ছে।


4. ইন-ডেফট্ কন্টেন্ট (In-depth Content)

ব্লগার মাত্রেই সবারই জানা থাকে যে, যে কোন পোস্টে কন্টেন্ট সবসময়ই রাজা। নতুন যাই আপডেট আসুক না কেন এটি সর্বদা তার অবস্থান ধরে রাখে। আপনি যদি গুগলের নজরে আসতে চান তবে আপনাকে এমন নিবন্ধ লিখতে হবে যা অনন্য এবং যা আপনার ওয়েবসাইটের গুণমান বাড়াবে।

গুগল তার নতুন ট্র্যাকিং সিস্টেমের সাহায্যে আপনার সাইটে আসা ভিজিটর কোন পয়েন্ট থেকে এসেছে এবং ভিজিটররা কতক্ষণ পোস্টে থাকে তাও নজর রাখে। তবে কন্টেন্টের মান বাড়ালে ভিজিটররা আপনার আর্টিকেলে বেশি সময় ব্যয় করবে।


গবেষণায় দেখা যায় যে, যেসব ওয়েবসাইটে বেশি কনটেন্ট আছে সেগুলো সার্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে অন্যান্য ওয়েবসাইটের চেয়ে বেশি র‌্যাঙ্কে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, আমরা 4টি ছোট নিবন্ধের পরিবর্তে একটি ভাল এবং দীর্ঘ নিবন্ধ লিখতে হবে। তবেই আমাদের নিবন্ধটি র‌্যাঙ্ক হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। কারণ এতে অনেক কীওয়ার্ড রয়েছে।


কিওয়ার্ড ডেসটিনির নিয়ম অনুসরণ করে প্রচলিত এসইও আজকের SEO Trends এ কাজ করে না। কিন্তু আপনি যদি আপনার পৃষ্ঠাকে র‌্যাঙ্ক করতে চান তাহলে আপনি আপনার নিবন্ধের শিরোনাম, বডি এবং মেটা ট্যাগে কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

আরো পড়ুন: মেটাভার্স কি? জেনে নিন এই ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির সব তথ্য।


5. সামাজিক সংকেত (Social Signals)

দেখা গেছে ফেসবুক , টুইটার, লিঙ্কডইন ইত্যাদি সামাজিক নেটওয়ার্ক থেকে অনেক দর্শক আমাদের ব্লগে আসে। তাই আমাদের এই সমস্ত নেটওয়ার্কে সক্রিয় থাকা উচিত এবং যতটা সম্ভব সামাজিক নেটওয়ার্ক-এ লিঙ্ক শেয়ার করা উচিত যাতে দর্শকরা আমাদের সম্পর্কে জানতে পারে।

ভিজিটররা নিয়মিত ব্র্যান্ড পর্যালোচনা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেটের সন্ধানে থাকে। আর ব্র্যান্ড এর জনপ্রিয়তা প্রধানত এই জিনিসগুলি থেকে আসে। কারণ সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিতে সবচেয়ে বেশি ট্র্যাফিক রয়েছে। তাই আজকের বিশ্বে সামাজিক ট্রেন্ডকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।


শেষকথা:

আপনি যদি সাফল্য চান, তাহলে আপনার উল্লিখিত সমস্ত বিষয়গুলি খুব সাবধানে বুঝতে হবে এবং সেগুলি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে প্রয়োগ করতে হবে। আমাদের এমন পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে ফোকাস রাখা উচিত যেগুলি Google র‌্যাঙ্কিংয়ে তাদের প্রভাব ফেলে। তাই দেরি না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সব পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করা দরকার।

আমি আপনাদেরকে 2022 সালের এসইও ট্রেন্ডস এর মধ্যে যে বিষয়গুলো সবসময় গুগল র‍্যাঙ্কিংয়ে বেশি প্রভাব ফেলে সেগুলোর তথ্য দিয়েছি এবং আশা করি আপনারা এসইও ট্রেন্ডস সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

 


*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন

ads

ads